পাবনা প্রতিনিধি: কমিটি অনুমোদনে ১ সপ্তাহ পরেই পাবনা সদর উপজেলা যুবদলের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কমিটি স্থগিতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থগিত হওয়া কমিটির একাধিক নেতৃবৃন্দ জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পাবনার সদর উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন সুজন ও সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম মিরাজ সংগঠনের প্যাডে স্বাক্ষর করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট্য পাবনার সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন যুবদল কমিটির অনুমোদন করেন। ঠিক এক সপ্তাহ পরেই ২৮ সেপ্টেম্বর তারা কোনো কারণ ছাড়াই একটি মহলের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কমিটি স্থগিত করেন।
১ সপ্তাহ পরে স্থগিত কমিটির একাধিক নেতা জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রিয়াজ আহমেদকে সভাপতি ও ফারুক আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট্য পাবনার সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন যুবদল কমিটির অনুমোদন দেয় পাবনা সদর উপজেলা যুবদল। পাবনার সদর উপজেলার যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন সুজন ও সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম মিরাজ সংগঠনের প্যাডে স্বাক্ষর করে এ কমিটির অনুমোদন করেন।
কমিটির অন্যান্যরা ছিলেন, সভাপতি রিয়াজ আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম খন্দকার, সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, মফিজ সরদার, আব্দুল মালেক মুন্নাফ, মনজুর মোল্লা, সোহাগ হোসেন মফিজ, মতিউর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম রফিক,
সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সিনি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাওছার জোয়াদ্দার, সহ-সাধারণ সম্পাদক আন্টু সরদার, রতন মৃধা, উজ্জল মোল্লা, সাইফ উদ্দিন, শফিক বিশ্বাস, রিয়াজুল ইসলাম সবুজ, রাসেল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মালেক শেখ, সহ. কোষাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন প্রাং, প্রচার সম্পাদক এরশাদ আলী বিশ্বাস, সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান বিপুল, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ জোয়াদ্দার, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরহাদ হোসেন খান, ক্রীড়া সম্পাদক সানাউল্লাহ প্রাং, সম্মানিত সদস্য শাহিন হোসেন, সদস্য জিয়াউর রহমান মন্ডল, নুরুল মোল্লা, মাসুদ রানা, মজিবর রহমান, ডাবলু সরদার, আতাহার মোল্লা, মো. শাহিন খাঁ, আশরাফুল ইসলাম রিপন, হাফিজ প্রাং।
ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ পাবনা সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের এমন কর্মকান্ডে হতবাক হয়েছেন।
জেলা পর্যায়ের সাবেক যুবদলের কয়েকজন নেতা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তারা সংগঠনের প্যাডে ব্যবহার করছেন পাবনা সদর উপজেলা যুবদল, আবার স্বাক্ষরিত সিলে ব্যবহার করছেন পাবনা সদর থানা যুবদল। আবার নির্বাহী কমিটিতে সাধারণত কার্যকরী সদস্য ও সদস্য লেখা হলেও- তাদের ঘোষিত কমিটিতে ‘সম্মানিত সদস্য’ পদের সৃষ্টি এবং ‘আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি’ হাস্যরসে পরিণত হয়েছে।
