আর কে আকাশ, পাবনা: শহীদ শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি, পাবনা (প্রস্তাবিত) উদ্যোগে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টায় পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেককাটার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪২ সংসদ সদস্য (পাবনা-সিরাজগঞ্জ) নাদিরা ইয়াসমিন জলি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, শহীদ শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি অ্যাড. বেলায়েত আলী বিল্লু এবং আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. এ.কে.এম. শওকত আলী খান, পাবনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. মোকছেদুল আলম, তাঁতী লীগ নেতা মো. সরোওয়ার্দী, মহিলা নেত্রী নিহার আফরোজ জলি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শহীদ শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি, পাবনা (প্রস্তাবিত) উপাচার্য প্রফেসর ড. এম.এম. কফিল উদ্দিন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাÐ থেকে সেদিনের নিষ্পাপ শিশু রাসেলও রেহাই পায়নি।
ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুর আকুতিও নরপশুদের মন গলাতে পারেনি। মাত্র ১০ বছর ৯ মাস ২৭ দিন বয়সে এই প্রতিভাবান শিশুর জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। বঙ্গবন্ধুর ঘাতক, আত্মস্বীকৃত খুনিরা সেদিন জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাই নরপশুরা নিষ্পাপ শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, রাসেল আজ বিশ্বে অধিকারবঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্তা হিসাবে বেঁচে আছেন সবার মাঝে। শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকত, তাহলে হয়তো একজন মহানুভব, দ‚রদর্শী ও আদর্শ নেতা আমরা পেতাম। যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসাবে পালিত হচ্ছে। আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ কেক কাটেন।
আর কে আকাশ
পাবনা প্রতিনিধি