মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পাবনা সফরের সময়ে এডওয়ার্ড কলেজসহ শহরের নানা স্থানে শিশু আরহামের পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য আহবান সম্বলিত বিলবোর্ডটি নজর কেড়েছে সকলের। সেখানে শিশুদের জন্য পূর্ণাঙ্গ একটি শিশু পার্কের জন্য আহবান জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে ঘিরে নানাস্থানে নানা বিলবোর্ড দেখতে পায় শালগাড়িয়া গোডাউন পাড়ার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রাজিব সরকারের ছেলে মুহাম্মদ আরহাম সরকার পূর্ণ। সে শহরের পাথফেয়ার কিন্ডার গার্টেনের ছাত্র। সে স্কুল থেকে ফেরার পথে নানা রকমের বিলবোর্ডে নানা রকম লেখা পড়ে সে তার পিতাকে বলে সেও একটা দিয়ে চায় রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কিছু লেখে। তখন তার কাছে জানতে চাইলে সে বলে মহামান্যকে শিশুদের জন্য একটা পার্ক করার কথা বলবো। পিতা প্রথমে রাজি না হলেও কান্নাকাটি শুরু করে দেয় শিশু আরহাম। এরপরে তার পিতা তাকে সাথে নিয়ে ডিজাইন করে বিলবোর্ডটি বের করে তাকে শান্ত করে। পরে এটা টাঙিংে দেওয়া হয় নানাস্থানে। আসলে এই শিশুটি যেনো এই শহরের সকল শিশুর কথায় বলেছে, সকল শিশুর পক্ষে দাবি তুলে ধরেছে। এই শহরের অভিভাবকেরা কোথায় নিয়ে যাবেন শিশুকে বেড়াতে, এ নিয়ে তারা বড় পেরেশানিতে থাকেন।। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ রাসেল শিশু পার্কের অবস্থা করুন। ওখানে থাকা শিশুদের বিনোদনের জন্য ব্যবহার হওয়া দুটো উপকরণই বন্ধ হয়ে আছে বছরের পর বছর। বরং লোহা মরচে ধরে ভেঙে মুচড়ে সেগুলো এখন ভয়ানক হয়ে রয়েছে কিন্তু দেখার কেউই নেই। পৌর এলাকার ভেতরে নেই কোনো শিশু পার্ক যা ব্যথিত করে শিশুদের ও শিশুদের অভিভাবকদের। এ বিষয়টি মাথায় এসেছে শিশু আরহামের যে বিষয়টি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নজরে আনলে এখানকার শিশুরা উপকৃত হতে পারে। পাবনা পৌর এলাকাতে একটা পূর্ণাঙ্গ ভালো শিশু পার্ক হোক এটা শিশু মুহাম্মদ আরহাম সরকার পূর্ণ এর মতো এই শহরের সকল শিশুর প্রত্যাশা। এটা হলে অভিভাবকেরাও অনেক বেশি খুশি হবেন এই ভেবে যে তারা তাদের আদরের সন্তানকে নিয়ে একটু বেড়াতে পারেন, যা সন্তানের বিনোদনের পাশাপাশি তাকে বিকশিত করতে ভূমিকা রাখবে।