নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের (৫৪) মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
সোমবার (২৭ জুলাই) পৃথক বাণীতে তারা মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন তার বার্তায় ইসরাফিল আলমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ জেলা তথা দেশ ও জাতি একজন সাহসী রাজনৈতিক যোদ্ধাকে হারালো। তিনি নিষ্ঠা ও উদারতার সাথে আজীবন দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি বলেন, মিষ্টভাষী ইসরাফিল আলম নিষ্ঠা-উদারতার সাথে আমৃত্যু দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। রাজনীতিবিদ হিসেবে ইসরাফিল আলম জাতীয় সংসদে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কথা বলতেন। জনসেবা ও সমাজের উন্নয়নে তিনি অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন।
চিফ হুইপ তার শোক বার্তায় বলেন, ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে এ দেশ একজন প্রকৃত রাজনৈতিক সংগ্রামী নেতাকে হারিয়েছে। তিনি শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যু নওগাঁ তথা এদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
সোমবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইসরাফিল আলম। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মুক্ত হওয়ার পর তিনি ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ইসরাফিল আলম স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন