জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নদী-নালা, খালবিলে নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বাদাই জাল দিয়ে অবাধে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে স্থানীয় মৎসজীবীরা। এতে এখানকার দেশি অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। রবিবার সকালে সরেজমিনে উপজেলার কৈডাঙ্গা,বেতুয়ান ঘাটের পাশে,চড়-ভাঙ্গুড়া,নৌবাড়িয়া ব্রিজের পাশে,কলকতি ও অষ্টমনিষা এলাকায় গুমানি নদী এবং বাওনজান বিলে বাদাই জাল ফেলে নিষিদ্ধ পোনা মাছ ধরতে দেখা যায়।
জানা গেছে, উন্মুক্ত জলাশয়গুলো বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় যমুনা নদীর দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মাছ উপজেলার বিভিন্ন বিল ও নদীর মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ার জন্য নিরাপদ আশ্রয় ভেবে চলে আসে। সেই সুযোগে কিছু স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীরা এলাকার বিভিন্ন নদী, খাল, বিল ও জলাশয়ে কারেন্ট, বেড় ও বাদাই জাল ফেলে এই মাছ ধরে নিচ্ছে নির্বিঘ্নে। পুঁটি, ট্যাংড়া, পাবদা, সরপুঁটি, ফাতাশি, বোয়াল ও ঝাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন দেশিও প্রজাতির মাছ শিকার করছে তারা। স্থানীয় সব হাট-বাজার, মাছের আড়তে এ পোনা মাছ অবাধে বিক্রিও হচ্ছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান,প্রতিদিন কারেন্ট ও বাদাই জাল দিয়ে মাছ ধরলেও দেখার কেউ নাই।
স্থানীয় মৎসজীবীরা জানান, পাঁচ বছর আগে ভাঙ্গুড়া উপজেলার ৩৪০৭ জন জেলেকে আইডি কার্ড দেয় স্থানীয় মৎস্য অফিস। কিন্তু জুলাই-আগস্ট মাসে মাছ ধরা নিষেধ থাকায়, বাধ্য হয়ে তারা পোনা মাছ ধরছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন,কয়েক দিন আগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কিছু জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।