পাবনা প্রতিনিধি, বাংলার মুখ : পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগরগরি ফটিক মোড় থেকে বাবলার বাড়ি রোড (ইয়াকুব আলীর বাসা) পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির অধিকাংশ বর্তমানে ভাঙাচোরা ও বিধ্বস্ত। বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টি পড়লেই এসব খানাখন্দ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন হেঁটে চলাচলও মুশকিল হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে উঠে যাওয়া ভাঙা ইট, বালু কাদা ও পানি মিলেমিশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত।
গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায়, রাস্তাটি ব্রিটিশ যুগে তৈরি করা হয়। উল্লেখ্য যে এই রাস্তাটি সিএস রেকর্ড-১৯২২, এসএ রেকর্ড ১৯৬২ এবং আরএস রেকর্ড ১৯৭৬ এর অন্তর্ভুক্ত।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, “ চরগরগরিয়া, শাহপুর, রুপপুর ও কাদিমপাড়ার ৪ গ্রামের মানুষের সংযোগ রক্ষাকারী একমাত্র রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই অগণিত মানুষ চলাচল করে। এরা সবাই ভোগান্তির শিকার”। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থী, অফিস কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ক্রেতা- বিক্রেতা সকলেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মানুষজন সীমাহীন কষ্টের শিকার হচ্ছে। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে এমনই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যে, যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেটে চলাই দুষ্কর। জরুরী অবস্থায় রোগী অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।
স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জানান, ইউনিয়নের অনেক শিক্ষার্থী ৬০ নং বিল কেদার সরকারি স্কুল ও কলেজে পড়ালেখা করে, যাদের বেশিরভাগ উক্ত রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারে না। আবার অনেক শিক্ষার্থী হেটে যাতায়াত করে। এই এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। গ্রামের বাকি রাস্তা গুলোর সংস্কারের কাজ করা হলেও এই রাস্তাটি এই গ্রামের একমাত্র অবহেলিত রাস্তা। এই রাস্তাটি ঠিক হলে ১০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে এলাকার জনগণের।
বিভিন্ন প্রকল্পে দেশের উন্নতি ঠিকই হচ্ছে কিন্তু উক্ত গ্রামের এই রাস্তায় আসলে মনে হয় যে সরকারের উন্নয়ন এখানেই থমকে গেছে। একাধিকবার দায়িত্বপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ এর চেষ্টা করা হলেও বিষয়টি নিয়ে তারা কোনো ধরনের ভ্রূক্ষেপ করেননি। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরার সময় পাননি।
আর কে আকাশ
পাবনা প্রতিনিধি