জেলা ছাত্রলীগের ইমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ- তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর,২০২২) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির অনুমোদন দেন। এর আগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি আকতারুজ্জামান সোহেলকে সভাপতি ও হাবিবুর রহমান লিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩৮৮ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে উপ- তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন পাবনার সন্তান জাহিদ হাসান ইমন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বংশগত পারিবারিক আবহে মুজিব আদর্শে আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত পাবনা সদর কৃষ্ণপুর মহল্লার বাসিন্দা জাহিদ হাসান ইমন। তার পৈতৃক নিবাস পাবনা সদরের দোগাছি ইউনিয়নের চকদুবলিয়া গ্রাম। তার পিতার নাম মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম ও মাতার নাম শারমিন আক্তার। তিনি তৃণমূলের রাজনীতি করেছেন খুব ছোটবেলা থেকেই। অতীতে তিনি সফলতার সাথে সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ পাবনা শাখা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ও সফলতার সাথে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তার বিপুল পরিমাণ কর্মীসমর্থক তৈরি হয়। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জাহিদ হাসান ইমন তার শিক্ষাজীবনের প্রতিটি পর্যায় সফলতার সাথে পাড় করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস (জিপিএ ৫.০০) এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ থেকে পাবনা জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশের সুনামধন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি)-তে শিক্ষা অধ্যয়নের সুযোগ পান ও সেখানেও ভর্তিযুদ্ধে ১৯ হাজার ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অষ্টম স্থান লাভ করেন। বর্তমানে তিনি স্নাতক চতুর্থ বর্ষে (ফাইনাল ইয়ার) এর ছাত্র। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জাহিদ হাসান ইমন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গনেও রাখেন অসামান্য অবদান। পাবনার সার্বজনীন প্রশংসিত সংগঠন পাবনা ডিবেট সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা তিনি। পাবনার বিতর্ক চর্চার যাত্রা শুরু হয় তারই হাত ধরে ও দশ বছর যাবৎ পুরো পাবনা জেলায় সফলতার সাথে বিতর্ক চর্চার প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি। তৃণমূল পর্যায়ে তার কাজে মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বিতর্ক সংগঠন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ (এনডিএফ বিডি) তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পাবনা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন ও সেখানে অধ্যয়নরত পাবনার জেলার সকল শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছেন তার কাজে ও গুণে। তার বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পাবনার বাসিন্দা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। তার আচার ও ব্যবহারের প্রশংসা করেন তারা। পাবনায় করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে খাদ্য সামগ্রী সহযোগিতা ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করে পাবনার মানুষের হৃদয়ে ব্যাপকভাবে জায়গা করে নেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এসময় তার কাজে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ও সার্বজনীন প্রশংসা কুঁড়ান। কোটা সংস্কার আন্দোলন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তার নিজ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক সহ আওয়ামী প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালান এবং নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন আন্দোলন ও প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠা গুজবের বিরুদ্ধে অনলাইনেও জোড়ালোভাবে সরব ছিলেন এবং দলীয় সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সকল কর্মকাণ্ডে তাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ে তুলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “পদ মানুষকে রঙিন করে না, পদকে রঙিন করতে হয় মেধা ও শ্রম দিয়ে। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে যখন যে পজিশনে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমি সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে সেই জায়গা থেকে কাজ করে গেছি। আমি সবসময় পরিশ্রমে বিশ্বাসী। পরিশ্রমের সম্মান আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে দেন। আর জীবনের সফলতার সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমার মায়ের দোয়া আর ভালবাসা। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে উন্নয়ন এর ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বোপরি সচেষ্ট থাকব ইনশাআল্লাহ।” পাবনা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার এই অর্জনে তাকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, “ইমন যখন খুব ছোট তখনই তার মেধা ও ছাত্রলীগের প্রতি ডেডিকেশন দেখে আমি তাকে আবিষ্কার করি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সুনামধন্য ছাত্রলীগের ইউনিটে পদ পাওয়াটা সৌভাগ্যের।তার আগামীর যাত্রাকে উৎসাহিত করতে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাকে সম্মানিত করা হয়। পাশাপাশি সে বিগত কমিটির পাবনা জেলা ছাত্রলীগের নেতা ছিলন। তাই তার এ অর্জন আমাদের পাবনা জেলা ছাত্রলীগের অর্জন বলে আমরা মনে করি।” এসময় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের নেতৃত্বে জাহিদ হাসান ইমন পাবনা জেলা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন উপজেলা ও থানা ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। ইমনের এই মূল্যায়নে পাবনার সকল স্তরের নেতাকর্মীরা আনন্দিত এবং তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। আগামী দিনে তার সকল সফলতা ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন পাবনার সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ।